বাংলায় আর্টিকেল লেখার ২০ টি কার্যকরী টিপস

ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জেনে খুব সহজেই আপনি আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন। বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে চাইলে আজকের লিখাটি আপনার জন্য।
এটি পাঠকদের দরকারি তথ্য সমূহ তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একটি ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু নিয়ম ও কৌশল মেনে চললে আপনার লেখা বেশ আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল হবে। এই পোস্টে আমরা বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশল

আর্টিকেল কি এর প্রকারভেদ ও আর্টিকেল লিখার উদ্দেশ্য কি?

মূল টপিকে যাওয়ার আগে জেনে নেই আর্টিকেল মূলত কি আর্টিকেল কেমন ধরনের হয় বা এর প্রকারভেদ কি এবং আর্টিকেল লিখার উদ্দেশ্যই বা কি ? ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জানার আগে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে মূলত আর্টিকেল বলতে কি বুঝি। আর্টিকেল হল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা যা পাঠককে সেই বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়।
আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন তথ্যপূর্ণ,মতামত ভিত্তিক, বিশ্লেষণধর্মী ইত্যাদি।
 
সবারই যে কোন কাজের একটি নিজস্ব উদ্দেশ্য থাকে । আর্টিকেল লেখার নিয়ম জেনে কনটেন্ট লেখারও একটি উদ্দেশ্য আছে। সে উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা ইনকাম করা। ব্লগে শুধু আর্টিকেল লিখলেই চলবে না আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায় সম্বন্ধেও আমাদের জানা প্রয়োজন। আর্টিকেল লিখে আয় করার সাইট রয়েছে। গুগলের মাধ্যমে এ সকল সাইট গুলোকে খুঁজে আপনি আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন।
 
কন্টেন্ট লিখে আমরা বেশ অনেকভাবেই টাকা ইনকাম করতে পারি নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগারে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারি। আর্টিকেল লিখে আমরা অন্য কোথাও বিক্রি করে দিয়েও ইনকাম করতে পারি এক্ষেত্রে বিভিন্ন আর্টিকেল ক্রয়ের ওয়েবসাইট রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার পিপুল পার আওয়ার সহ আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে কনটেন্ট বিক্রি করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমেও আয় করা যায়।
আর্টিকেল লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠকদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা, তাদের মধ্যে নতুন ধারণা দেয়া। কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে সঠিক ও গভীর ধারণা দেয়া এবং পাঠককে শিক্ষিত করে তোলে।
বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে সহজ ও প্রাঞ্জল্য ভাষায় পাঠকের বোধগম্য করে তোলা বা লিখা অতিবাঞ্চনীয়। এছাড়াও আর্টিকেলটি এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে পাঠক পড়তে আগ্রহী হয় ,সহজেই এটি আত্মস্থ ও গ্রহণ করতে পারে। বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশল হিসাবে এমন কোন বিষয় উল্লেখ করবেন না যা পাঠকের আগ্রহকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হন।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মসমূহ

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মসমূহ সঠিকভাবে জানা না থাকলে পাঠ ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে। ফলে ব্লগে আর্টিকেল লিখা আপনার জন্য একান্তই ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনার লেখাকে মানসম্মত ও আকর্ষণীয় করে তুলতে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মসমূহ জানা অতিজরুরী। সহজ ভাষায় লিখে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করাই এর মূল লক্ষ্য।পাঠকদের কাছে আপনার লেখা অবশ্যই তথ্যবহুল ও উপকারী হতে হবে। ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো -

ফোকাসিং কিওয়ার্ড নির্বাচন করা

ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ফোকাসিং কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। প্রথমে আপনাকে এমন একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যা আপনার আর্টিকালের মূল বিষয়বস্তুকে তুলে ধরতে পারে। যাতে আপনার আর্টিকালকে সার্চ ইঞ্জিনে খুজে পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিবে।সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন আপনার আর্টিকেলটিকে গুগল বা অন্যান্য যে কোন সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ করে দিবে। গবেষণা করার জন্য বিভিন্ন টুল ব্যবহার করতে পারেন যেমন গুগল কিওয়ার্ড প্লানার
 কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় অবশ্যই লক্ষ রাখবেন এটি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত কিনা এবং সার্চ ইঞ্জিনে জনপ্রিয় কিনা । অবশ্যই আপনার কি-ওয়ার্ড এমন হওয়া উচিত মানুষ সাধারণত যা লিখে গুগল, ইয়াহু, ফেইসবুক, টুইটার, লিংডিন ইত্যাদি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে। সেই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া অতীব জরুরী।

আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন করা

ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহের মধ্যে দ্বিতীয় যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত তা হল আপনারকে একটি আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন করতে হবে। আর্টিকেলের প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়ায় এমন একটি আকর্ষণীয় ও সঠিক টাইটেল নির্বাচন করা উচিত। যা পাঠককে আপনার লিখায় ক্লিক করতে আকর্ষণীয় করে তুলে।

টাইটেলটি অবশ্যই সংক্ষিপ্ত ও তথ্যবহুল হতে হবে। টাইটেল দেখে পাঠক যেন সহজেই বুঝতে পারে আর্টিকেলটি কোন বিষয়ে লিখা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি "অনলাইন ইনকাম" সম্পর্কে কোন কিছু বলতে চান বা লিখতে চান তাহলে আপনার টাইটেল হতে হবে অনলাইনে ইনকামের সকল তথ্য বিষয়ক সম্পর্কিত।

আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্তি করন

ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্তি করন অতীব জরুরী।আর্টিকেলের শুরুতেই ভূমিকা থাকলে পাঠক তার প্রয়োজনীয় অংশটি খুব সহজেই বেছে নিতে পারেন তিনি আর্টিকেলের কোন অংশটি পড়তে আগ্রহী । প্রতিটি আর্টিকেলের শুরুতে অবশ্যই একটি ভূমিকা থাকতে হবে ,যা আপনার পাঠকের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক ও সুস্পষ্ট ধারণা দেয়। ভূমিকা বিষয়ে আপনি কি আলোচনা করবেন এবং কেন এটি পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তা যেন পাঠকেকে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়। ভূমিকা টি সংক্ষিপ্ত হলেও যেন বেশ তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় হয় বলে পাঠককে পড়তে আগ্রহী করে গড়ে তোলবে ।

প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা

প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরাই আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আর্টিকেল লেখার মূল অংশে বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সকল তথ্য তুলে ধরতে হবে। বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশল স্বরূপ তথ্যগুলো সঠিক ও যাচাই করে লেখা উচিত। কারণ পাঠকের বিশ্বস্ততা অর্জন করার জন্য এর চেয়ে আর ভালো কোন উপায় নেই। আর্টিকেল যেন পাঠককে শিক্ষিত করে এবং তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে এমন সকল বিষয় ভালো করে পরিষ্কার করে লিখতে হবে ।

প্যারাগ্রাফ আকারে লিখা

আর্টিকেলকে প্যারাগ্রাফ আকারে লেখা অতীব জরুরী। কারণ এতে পাঠক সহজে সেই বিষয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে তার ধারণাগুলোকে অতিসহজেই বোধগম্য করতে পারবেন। দীর্ঘ লেখাকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখতে হবে। প্রতিটি প্যারাগ্রাফে একটি করে প্রধান বিষয় তুলে ধরবেন এবং সে পয়েন্টকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে পাঠকের বোধগম্য করে তুলবেন। তবেই বিষয়টি পাঠক বুঝতে পারবেন এবং দীর্ঘ লেখাগুলোকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ এ ভাগ করে পড়বে যাতে বিষয়টি পাঠক সহজেই আত্মস্থ করতে পারেন।

বুলেট ও নাম্বার পয়েন্ট ব্যবহার করা

বুলেট ও নাম্বার পয়েন্ট ব্যবহার করলে আর্টিকেলটি পাঠকের পড়তে, দেখতে ও আত্মস্থ করতে খুব সহজ হয়। বিভিন্ন তথ্য ও পয়েন্ট গুলো খুব সহজেই পাঠকের কাছে উপস্থাপন করার জন্য অবশ্যই বুলেট ও নম্বর পয়েন্ট ব্যবহার করবেন। বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশলকে পরিপূর্ণতা আনতে বুলেট ও নাম্বার পয়েন্ট ব্যবহার করা উত্তম।

এতে আর্টিকেলটি পাঠকের কাছে দেখতে সহজ ও পড়তে আনন্দদায়ক হবে। বুলেট নাম্বার ব্যবহার করে তথ্য সজ্জিত করলে পাঠক দ্রুত বিষয়টি বুঝতে ও আত্মস্থ করতে পারেন। সর্বোপরি বুলেট ও নাম্বার পয়েন্ট ব্যবহার করে লিখলে লিখাকে খুব আকর্ষণীয় ও বোধগম্য করে তোলে।

ইন্টারনেট লিংক যুক্ত করুন

ইন্টারনেট লিংক যুক্ত করলে পাঠকদের আরও তথ্য পেতে সাহায্য করে। আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আর্টিকেলের লিংক ব্যবহার করতে পারেন এতে পাঠকদেরকে আরো বেশী সময় ধরে আপনার সাইটে ধরে রাখতে পারবেন । পাঠক একটি বিষয় পড়তে এসে আরেকটি বিষয়ে পড়বে এতে করে আপনার ইনকাম বাড়বে।

ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা

ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা। কারণ ফিচার ইমেজ ব্যবহার করলে আপনার আর্টিকেলটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আর্টিকেলটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে ফিচার ইমেজ যুক্ত করা অতীব জরুরী ।
এটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুকেও আরও স্পষ্ট করে তোলে। ফিচার ইমেজটি অবশ্যই প্রাসঙ্গিক ও উচ্চ মানের হতে হবে। ইমেজ ব্যবহার করলে আর্টিকেল আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এবং পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পড়ায় মনোনিবেশ বৃদ্ধি করে।

প্রয়োজনীয় ইমেজ ব্যবহার করা

প্রয়োজনীয় ইমেজ ব্যবহার করুন যাতে পাঠকের কাছে বিষয়টি বুঝতে সহায়ক হয়। ইমেজের মান ও প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখেই ইমেজ ব্যবহার করা উচিত। ইমেজ এর সাথে প্রয়োজনীয় ক্যাপশন যোগ করতে পারেন যাতে করে পাঠক ইমেজের মর্ম অতি সহজেই বুঝতে পারেন। ব্লগে ফিচার ইমেজ ব্যবহার করার পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক ইমেজ ব্যবহার করুন এতে আপনার লিখাকে আরো অ্যাট্রাক্টিভ করে তুলবে। বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশল হিসেবে সঠিক জায়গায় সঠিক ইমেজ ব্যবহার করুন।

আর্টিকেল ফরম্যাটিং করা

আর্টিকেল ফরমেটিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আর্টিকেল ফরমেটিং আপনার লেখার সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করবে। পুরো আর্টিকেলটি সুন্দর ও প্রাসঙ্গিকভাবে ফরম্যাটিং করুন। হেডিং, সাবহেডিং, বোল্ট যেখানে যা প্রয়োজন ব্যবহার করুন এবং আর্টিকেলটিকে আরো সুন্দর করে তুলুন। অর্থাৎ যা করলে পাঠকের সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ হয় এবং বিষয়বস্তু পড়তে ও বুঝতে পারেন ঠিক তেমন করেই আপনার লিখাকে সাজাবেন। একে আমরা ওয়েল ডেকোরেশন বলি।

কপিরাইট এড়িয়ে চলা

কপিরাইট এড়িয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনভাবেই কনটেন্ট এ কোন ধরনের কোন কপিরাইট গ্রহণযোগ্য নয়। সর্বদাই নিজস্ব ও নিজ ধারণা থেকে লেখা তৈরি করতে হবে। কপিরাইট কন্টেন্ট ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের সুনাম হারাবে এবং বিভিন্ন আইনগত সমস্যায় পড়তে পারেন। নিজস্ব ভাষায় ও ধারণা থেকে লেখা তৈরি করলে তা আরো মৌলিক আকর্ষণীয় হয়। পাঠক সহ সকল মহলে গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়।

অন পেজ এস ই ও

অন পেজ এস ই ও করলে আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র‍্যাংক পেতে বেশ সহায়ক হয়। আপনার ওয়েবসাইটকে google বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের টপ র‍্যাংকিংয়ে আনতে অন পেজ এসই ও এর ভূমিকা অপরিসীম। অন পেজ এস ই ও করতে এক্ষেত্রে আপনাকে কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন, মেটা ট্যাগ ব্যবহার, ইমেজ এলার্ট ইত্যাদি সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা শিখতে হবে।
এটি করতে পারলে আপনার আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ পর্যায়ে যেতে বেশ ভূমিকা পালন করবে। এখন আমরা জানবো আপনাকে কিভাবে কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন ,মেটা ট্যাগ, ইমেজ এলার্ট ইত্যাদি সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে হয় তার নিয়মকানন সম্পর্কে।
নিয়ম গুলো হলোঃ 
  • প্রতিটি পোস্টের লেখার ভাষা ইউনিকোড ফরমেটে চলিত ভাষায় হবে
  • বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ইংলিশ ভাষা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ
  • প্রতিটি পোস্ট এর শিরোনাম বা টাইটেল ৫-৮ শব্দের হতে হবে
  • বিশেষ প্রয়োজনে ( ? । ; )জিজ্ঞাসা, দাড়ি, সেমিকোলন এগুলো ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করা যাবে না
  • পোস্টের পারমালিঙ্ক ইংলিশ শব্দ ১-২ শব্দের মধ্যে হতে হবে
  • পোষ্টের পারমালিঙ্ক এর সবগুলো লেখা ছোট হাতের অক্ষরে লিখতে হবে
  • পোস্টের পারমালিঙ্কে কখনো সাল উল্লেখ করা যাবে না
  • অন্য কোথাও লিখে রেখে সেটা কপি করে ব্লগারের মধ্যে পোস্ট করে পাবলিশ করা যাবে না
  • সারা বছর গুগল ইউটিউব ফেসবুকে সার্চ হয় এ জাতীয় টপিকে কন্টেন্ট লিখতে হবে
  • ওকেঝান বা ইভেন্ট ভিত্তিক কন্টেন্টের ক্ষেত্রে উক্ত ওকেঝান বা ইভেন্টের কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে
  • ব্লগ পোস্টে আপলোডকৃত প্রতিটি ছবি ওয়েব পেজ ফরমেটে ৫০ কিলোবাইটের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে হবে
  • প্রতিটি ইমেজ এর সর্বনিম্ন উয়িদ ১000 পিকজেল এবং রেশিও ১৬ঃ৯ হতে হবে
  • কনটেন্ট এর মধ্যে কখনো বানান ভুল করা যাবে না
  • যে সকল ছবি চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসকল ছবিতে নিজের ওয়েবসাইটের ডোমেইন বা ব্রান্ড লোগো ব্যবহার করতে হবে
  • যেসব পোস্ট লাইফ টাইম আপডেট করে চালানো যায় সেসব পোস্টের ইমেজের মধ্যে সাল উল্লেখ করা যাবে না
  • ফোকাস কী-ওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্টের নিয়ম বা নীতিমালা
  • কনটেন্টের মধ্যে ফোকাস কী-ওয়ার্ড প্রাসঙ্গিকভাবে ১০ বার ব্যবহার করতে হবে
  • একই ফোকাস কিওয়ার্ড মডিফাই করে আরো পাঁচ বার ব্যবহার করতে হবে
  • অতএব ফোকাস কী-ওয়ার্ড সর্বমোট ১৫ বার কনটেন্টের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে
  • সেকেন্ডারি ফোকাস কী-ওয়ার্ড কনটেন্ট এর মধ্যে দুইবার ব্যবহার করতে হবে
  • সেম সেকেন্ডারি ফোকাস কী-ওয়ার্ড মডিফাই করে আরো একবার ব্যবহার করতে হবে
  • কনটেন্ট এর মধ্যে পাঁচটি লং টেল এলএসআই কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে
  • প্রতিটি হেডিং এ প্রাসঙ্গিকভাবে ফোকাস কিওয়ার্ড ইমপ্লয়মেন্ট করতে হবে
  • পোস্টের টাইটেল বা শিরোনাম শুরু করতে হবে ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে
  • পোস্ট এর মেটা ডেসক্রিপশন শুরু করতে হবে ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে
  • মেটা ডেসক্রিপশনের মধ্যে সেকেন্ডারি ফোকাস কী-ওয়ার্ড একবার ব্যবহার করতে হবে

উপসংহার যুক্ত করণ

আর্টিকেলের শেষে একটি উপসংহার যুক্ত করুন। যাতে আপনার লিখার বিষয়বস্তুর একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র ফুটে ওঠে । এটি পাঠকের জন্য আর্টিকেলের মূল বিষয়গুলো মনে রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও উপসংহার অংশে আপনি আপনার মতামত, সুপারিশ, ভবিষ্যতের অনুসন্ধানের দিক নির্দেশনাও দিতে পারেন। উপসংহার টি এমনভাবে লিখুন যাতে পাঠকরা আর্টিকেলের মূল পয়েন্টগুলো সহজেই মনে রাখতে পারে এবং তাদের আর্টিকেলটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পায়। 

স্ক্রিন শট টেকনিক

ব্লগে আর্টিক্যাল লিখতে গিয়ে অনেক সময় স্ক্রিনশটের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে স্কিন শট টেকনিক আপনার আর্টিকেলকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার এক সহজ মাধ্যম। আপনাকে শুধু জানতে হবে কিভাবে স্ক্রিনশট নিবেন এবং এটিকে আরো বেশি আকট্রাক্টিভ করতে কি কি পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করবেন। এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার আর্টিকেলকে পাঠকের দৃষ্টিনন্দন করতে পারেন।
টেকনিকগুলো হল
  • স্ক্রিনশট যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুর মধ্যেই রাখতে হবে
  • স্ক্রিনশট ইমেজের কোন অংশকে আপনি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছেন তা মার্ক করে স্পষ্ট করে দেখানো উচিত
  • কনটেন্ট লেখার নিয়ম অনুযায়ী ছবির সাইজ সবসময় অরজিনাল হতে হবে
নিম্নে স্কিন শর্ট নেয়ার একটি নমুনা ছবি দেয়া হল  
 
ডিজিটাল-ড্রিম
 

ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত করা

ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত করা যাবেনা। কখনোই ছবি ডাউনলোড না করে ছবির সোর্স লিংকিং করে পোস্টের মধ্যে ব্যবহার করবেন না। কারণ সোর্স ওয়েব সাইটের মালিক যদি ছবি ডিলিট করে দেয় তাহলে আপনার আর্টিকেলেও ছবিটি দেখাবে না। 
এজন্য সর্বদাই ছবি ডাউনলোড করে আর্টিকেলে ছবি ডাউনলোড করবেন। ছবি ডাউনলোড করার সময় আরো একটি কথা গুরুত্বের সহিত মনে রাখতে হবে ছবিটি যেন অবশ্যই ক্রিয়েটিভ লাইসেন্স কৃত ছবি হয়ে থাকে। ক্রিয়েটিভ লাইসেন্সকৃত ছবি কিভাবে নিতে হয় তার একটি স্ক্রিনশট নিচে দেয়া হলো

লাইন গ্যাপ দিয়ে কন্টেন্ট লেখা

লাইন গ্যাপ দিয়ে কনটেন্ট লেখার অভ্যাস থাকলে তা একেবারেই পরিহার করবেন। পরিশুদ্ধ বাংলা কনটেন্ট লেখার জন্য কয়েক লাইন গ্যাপ না করে সর্বোচ্চ এক লাইন গ্যাপ করে কনটেন্ট লিখবেন এতে লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার আর্টিকেলটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

পোস্ট ফরমেটিং করা

ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুসারে পোস্ট ফরমেটিং করা আরো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার আর্টিকেল এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে আর্টিকেল ফরমেটিং করা খুব জরুরী।পুরো আর্টিকেলটিকে জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট করবেন। আর্টিকেলের মধ্যে ছবিকে সেন্টার অ্যালাইনমেন্টে ব্যবহার করা উচিত। 

আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করা

আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করলে আপনার ইনবক্সিং বাড়বে। প্রতিটা পোষ্টের মধ্যে উক্ত সাইটের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক লিংক যুক্ত করবেন যাতে পাঠক একটি পোস্ট পড়তে গিয়ে আরও অনেক পোস্ট পড়ে ফেলেন। প্রতিটি পোস্টে চারটি আরো পড়ুন সেকশন ব্যবহার করতে হবে।

কনটেন্ট ফরমেটিং ফর্মুলা

এখন আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা আজকের আলোচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কন্টেন্ট ফরমেটিং ফর্মুলা একটি কনটেন্ট এর সকল চাহিদা পূরণ করতে পারে। নিম্নে এর ধাপ সমূহ পর্যায় ক্রমে বুলেট আকারে বর্ণনা করা হলো। 
ধাপ-১
  • পোষ্টের টাইটেল বা শিরোনাম ৫-৮ শব্দের মধ্যে রাখবেন
  • পোস্টের টাইটেল লোভনীয় করে লিখতে হবে যেমন ৫টি, ১০টি, গোপনীয়, কার্যকরী টিপস ইত্যাদি
  • বিশেষ প্রয়োজনে ( ? । ; ) জিজ্ঞাসা ,ডাড়ি সেমিকোলন এইগুলো ব্যতীত বিশেষ কোন চিহ্ন বা টাইটেল ব্যবহার করা যাবে না
ধাপ-২
  • ভূমিকা বাটন বানাতে হবে যাতে সর্বোচ্চ পাঁচটি শব্দ ব্যবহার করা যাবে
  • ভূমিকার মধ্যে অন্য পোস্টের ফোকাস কিওয়ার্ড বসাতে হবে
ধাপ-৩
  • মেটা ডেসক্রিপশন বা ভূমিকা মোট চার লাইনে লিখতে হবে
  • দুই লাইন ফিচার ইমেজের আগে
  • দুই লাইন ফিচার ইমেজের পরে
ধাপ-৪
  • পেজ সূচিপত্র সর্বনিম্ন ১০টি প্রয়োজনীয় হেডিং টু রাখতে হবে
  • প্রথম হেডিং ফোকাস কিওয়ার্ড হতে হবে
ধাপ-৫
  • প্রতিটি হেডিং ৫-৮ শব্দের মধ্যে হতে হবে
  • প্রতিটি হেডিং এর নিচে সর্বনিম্ন দুটি প্যারা ব্যবহার করা যাবে
  • প্রতিটি হেডিং এর নিচে সর্বোচ্চ ৫টি প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করা যাবে
ধাপ-৬
  • প্রতিটি প্যারা সর্বনিম্ন ৩.৫ লাইনে এবং
  • প্রতিটি প্যারা সর্বোচ্চ ৫ লাইনে লেখা যাবে
ধাপ-৭
    শেষ কথা/ উপসংহার/ লেখকের মন্তব্য সর্বনিম্ন দুটি প্যারায় লিখতে হবে
ধাপ-৮
  • প্রতিটি পোস্টের তিনটি ফিচার ইমেজ ব্যবহার করতে হবে
  • প্রতিটি ইমেজ এ আই দিয়ে বানাতে হবে
ধাপ-৯
Name Wide(px) Height(px)
Feature Image Size 1100 619
Brand Logo Size 500 500
Favicon Image Size 200 200
Header Logo Size 283 53
Social Share Image Size 1000 1000
Banner Ad Size 1000 90









বাংলায় আর্টিকেল লেখার ২০ টি কার্যকরী টিপসঃ শেষকথা

অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায় কে সহজেই কাজে লাগাতে পারেন যার অদূর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। কিভাবে একটি সেরা আর্টিকেল লিখতে হয় তার সকল গোপনীয় টিপস এবং কার্যকরী উপায় গুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হয়েছে।
শুধু মাত্র আপনি এ কার্যকরী টিপস গুলোকে ইমপ্লিমেন্ট করে একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখে ব্লগে পাবলিশ করুন। আশা করা যায় আপনি আর্টিকেল লিখে একটি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url