কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে যারা আগ্রহী বা কানাডিয়ান অভিবাসী হতে চান তাদের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া একটি প্রথম পদক্ষেপ। আপনি কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী কিন্তু আপনি জানেন না এর খরচ কত এর প্রসেস কি কি পেপার লাগে কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে এর বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।
যার মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট ওয়ার্ক পারমিট এবং ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার সহজতর ও সঠিক উপায়। কানাডিও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং আবেদন প্রক্রিয়া ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সঠিক গাইডলাইন পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সূচীপত্র ঃ ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কানাডা যাওয়ার উপায়
- ওয়ার্ক পারমিট কি
- কানাডা জব ভিসা
- কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয়
- কিভাবে জব খুঁজে পাবেন
- প্রতারণা থেকে বাঁচুন
- যেসব চাকরিতে এল এম আই এ পেতে পারেন
- যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি
- ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার পদ্ধতি
- কানাডা জব ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি
- কানাডা জব ভিসা আবেদন ফরম
- কানাডা জব সার্কুলার কখন হয়
- কানাডা জব ভিসা খরচ
- সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
- শেষ কথা
ওয়ার্ক পারমিট কি
ওয়ার্ক পারমিট বা ওয়ার্ক ভিসা হল একটি ভিন্ন দেশের অফিশিয়াল ডকুমেন্ট। যা একজন বিদেশী নাগরিককে কাজ করার অনুমতি বা বৈধতা পত্র দেই। এটি মূলত সে দেশের সরকার বা অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারিকৃতপত্র। যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সে দেশে থাকতে বা সে দেশে চাকরি করার অনুমতি দিয়ে থাকে।
কানাডিয়ান নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন এবং যে ব্যক্তি কানাডায় কাজ করতে চান
তাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয় এমনকি আপনি যদি
কানাডিয়ান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন আন্তর্জাতিক ছাত্র হয়েও থাকেন তবুও ওয়ার্ক
পারমিটের পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কাজের জন্য আপনার অবশ্যই কানাডিয়ান
ওয়ার্ক পারমিট এর প্রয়োজন হবে।
কানাডা জব ভিসা
কানাডা জব ভিসা পেতে প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য লোকজন আবেদন করে থাকেন। সারা বিশ্ব থেকে কানাডায় প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমাদের দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ কানাডা জব ভিসায় গিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে করছেন। প্রথমে আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। কানাডা কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে আমরা এই শর্তগুলো নিয়ে নিচের অংশ আলোচনা করেছি ।
আরো পড়ুন ঃ কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি ও খরচ
বর্তমানে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা এ দুটি ভিসার
চাহিদা প্রচুর। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক বা অনেকেই
কানাডা যেতে চান কিন্তু কানাডা ভিসা আবেদন করার বিস্তারিত পদ্ধতি সম্বন্ধে কেউই
তেমন সম্মুখ ধারণাও রাখেন না। যার কারণে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় এবং প্রচুর
অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। আমরা আপনাদেরকে খুব সহজেই জানাবো কিভাবে অল্প টাকা এবং
সহজেই আপনি কানাডার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতে পারেন।
বিদেশী অভিবাসীদের কানাডায় কাজের জন্য দুই ধরনের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়। কাজের জন্য অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
A. নিয়োগ কর্তা কর্তৃক নির্দিষ্ট ওয়ার্কপারমিট ঃ
নিয়োগ কর্তা কর্তৃক নির্দিষ্ট ওয়ার্ক পারমিট হল যে নিয়োগকর্তার জন্য ওয়ার্ক পার্টমিট তৈরি সেই কাজেই এবং সেই নিয়োগকর্তার কাছেই নির্দিষ্ট থাকা। যে নিয়োগকর্তার জন্য ওয়ার্ক পার্টমিটটি কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার সঠিক নাম এবং আপনি যে সময়কালের জন্য কাজ করতে পারবেন এবং আপনার কাজ এবং সে কাজের অবস্থান বর্ণনা করে।
কানাডা সরকার বিদেশি নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পার্টমেট ভিসা ইস্যু করে থাকেন যেমন ওপেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা , রেজিস্ট্রেট ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ,পোস্ট গ্রাজুয়েট ওয়ার্ক পারমিট ভিসা,এম্প্লয়ার স্পেসিফিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি।
এটি হয় শ্রমবাজারের প্রভাব মূল্যায়নের একটি অনুলিপি অথবা মুক্ত কর্মীর জন্য কর্মসংস্থানের একটি প্রস্তাব। একে (LMIA) লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট বলে। লিমা হল একটি নথি যা কানাডিও নিয়োগকর্তাগণ আন্তর্জাতিক কর্মী নিয়োগের আগে সে দেশে কর্মী প্রয়োজন কিনা সে ব্যাপারে একটি মঞ্জুরিপত্র জারি করেন। লিমাকে কর্মী নিয়োগের একটি নিশ্চিতকরণ চিঠিও বলা হয়ে থাকে।
B. খোলা কাজের অনুমতি বা ওপেন ওয়ার্ক পারমিট
ওপেন ওয়ার্ক পারমিট হল একজন ব্যক্তি যে কোন এলাকায় যে কোন নিয়োগকর্তার অধীনে যেকোনো কাজ করার অনুমোদন পাবেন । এক্ষেত্রে একজন আন্তর্জাতিক স্টুডেন্টও হতে পারে।
কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয়
কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয় সে সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। বিদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য কিছু ধাপ বা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় কানাডিও কোন কোম্পানি যদি মনে করেন তার কিছু কর্মী প্রয়োজন সেক্ষেত্রে তিনি বেশ কয়েকবার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিবেন এবং বিজ্ঞাপনে যদি কাঙ্খিত লোক পাওয়া না যায় অতঃপর সরকারের কাছে আবেদন করবেন কানাডার বাইরে থেকে কাজের লোক আনার জন্য অতঃপর সরকার অনুমতি দিলে তবেই একজন কর্মীর জন্য কানাডায় কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়ে থাকে।
কিভাবে জব খুঁজে পাবেন
কিভাবে জব খুঁজে পাবেন সেজন্য আপনি বেশ কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব তথ্য বা যবের খোঁজ পেয়ে থাকবেন। এই কর্মক্ষেত্র গুলো খোঁজার জন্য একটি ওয়েবসাইট দেয়া হলো www.indeed.com এরকম আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়াও গুগল ওয়েবসাইটে গিয়ে Labor Market Impact Assessment ( LIMA ) লিখে সার্চ দিলে আপনি চাকরির খোঁজ গুলো পেয়ে থাকবেন।
অতঃপর আপনি আপনার বায়োডাটা সাবমিট করবেন। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতঃ বায়োডাটা পছন্দ হলে আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে। ইন্টারভিউগুলো সাধারণত অনলাইনেই হয়ে থাকে। আপনাকে যদি তাদের যোগ্য বলে মনে হয় তবে আপনাকে নিয়োগের আগে সরকারের কাছে এল এম আই এর জন্য আবেদন করতে হবে।
এরপর সরকার আরেকবার যাচাই-বাছাই করবে কানাডার সরকার দেখতে চাইবে কোম্পানির জন্য সঠিক লোক নিচ্ছে কিনা। নাকি কোম্পানি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন লোক বিদেশ থেকে আমদানি করছে।
আপনি এ কাজের জন্য যোগ্য কিনা তা সরকার বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে তবেই আপনার এল এম আই এ বরাদ্দ হবে। এরপর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১ - ২ বছর মেয়াদি ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। পরবর্তীতে কয়েক বছর কাজ করার পর পার্মানেন্ট রেসিডেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রতারণা থেকে বাচুন
প্রতারণা থেকে বাচতে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ে সতর্ক ও সাবধান হতে হবে। অনেকে আছেন আপনাকে জব অফারের নাম করে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিতে পারেন। অনেকে আপনাকে বলতে পারেন যে আপনাকে এল এম আই এ জোগাড় করে দেবেন এবং জব অফারের জব অফার ও এল এম এ আই জোগাড় করে দেবেন।
কিন্তু মনে রাখবেন কেউ আপনাকে টাকার বিনিময়ে জোগাড় করে দিতে পারবে না। আপনাকে
নিজের যোগ্যতা ও চাকরির মত ইন্টারভিউ দিয়েই তবে যোগ্য বলে প্রমাণিত করতে হবে এবং
যখন দেখবেন কেউ ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি পাঠানোর কথা বলবে তখন আপনি ভেবে নেবেন
অবশ্যই আপনি কোন দালালের ক্ষপপড়ে পড়েছেন কিংবা পড়তে যাচ্ছেন।
যেসব চাকরিতে এল এম আই এ পেতে পারেন
যেসব চাকরিতে এল এম আই এ সহজে পেতে পারেন তার ধারণা থাকলে আপনার জব খোঁজা
খুব সহজ হয়ে যাবে। কানাডায় বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল কাজে লোক নেয়া হয়ে থাকে
তন্মধ্যে ইন্ডিয়ান বা চাইনিজ রেস্তুরায় সেফ এর কাজ ,কম্পিউটার সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ার , হেভি ট্রাক ড্রাইভার , বিভিন্ন ওল্ড হোমে
সাপোর্ট ওয়ার্কার ইত্যাদি।
আরো পড়ুন ঃ কানাডা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
একটি বিষয় মনে রাখা খুবই জরুরী যদি কোন ওয়ার্ক পারমিটে ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি শুধু
বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রতিযোগী নন ১৮০ টি দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে
হবে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা , কাজের অভিজ্ঞতা , ইংরেজি ভাষাগত যোগ্যতা
পরীক্ষার সময় চাকরী দাতাকে কতটুকু কনভেন্স করতে পারছেন ইত্যাদির উপর নির্ভর করবে
আপনি সেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসাটি পাবেন কিনা ।
যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন
যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা আপনি আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখবেন। কানাডা যেতে
অবশ্যই আপনাকে যে সকল ডকুমেন্ট ও সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হবে। নিচে সে সকল তথ্যের
বিস্তারিত তালিকা আকারে উল্লেখ করে দেওয়া হলোঃ
- বয়স ১৮ বছর হতে হবে
- শিক্ষাগত সকল যোগ্যতার সার্টিফিকেট কমপক্ষে এইচএসসি পাস
- আই ই এল টি এস সার্টিফিকেট-স্কোর কমপক্ষে ৬
- অভিজ্ঞতা সনদ বা কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র
- ব্যাংক একাউন্টের কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকার লেনদেন করা স্টেটমেন্ট
- পাসপোর্ট ৬ মাস মেয়াদী
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- বি এম ই টি রেজিস্ট্রেশন
কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত
ডকুমেন্টসগুলো বা কাগজগুলো লাগবে। এছাড়া আপনাকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে
হবে এবং আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস
আছে তবেই এই এসব সঠিক তথ্য দিয়ে কানাডা জব ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এবার আমরা জানবো কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় এবং ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হয়
আবেদন প্রক্রিয়া ঃ
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে না জানলে আপনাকে
দালাল বা বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
কানাডা যেতে কোন দালাল বা বেসরকারি ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা ছাড়া যেতে এ পদ্ধতি
গুলো অনুসরণ করে সহজেই আবেদন করতে পারেন। কানাডা জব ভিসা পর একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে
প্রথমেই ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করা । ওয়েবসাইট
canada.ca and jobbank.gc.ca ওয়েবসাইট ভিজিট করে আপনার পছন্দের কাজের পারমিটের জন্য সকল নিয়ম কানুন
অনুসরণ করে আবেদন করার মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া অতি সহজ। আবেদন করার
পর কানাডার ওই কোম্পানি আপনার সাথে ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত সকল বিষয়ে
সহযোগিতা করবে।
ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার পদ্ধতি
ওয়ার্ক পার্টমিট ভিসা সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে jobbank.gc.ca ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। আপনি যে কাজ করতে ইচ্ছুক বা যে কাজের দক্ষতা আছে সেটি লিখে সার্চ করুন। পাশের বক্সে পুরো কানাডা সিলেক্ট করতে পারেন অথবা কানাডার যে কোন অঞ্চল সিলেক্ট করতে পারেন অতঃপর সার্চ বাটনে ক্লিক করে অতি সহজেই আপনার পছন্দনীয় জব খুঁজে নিতে পারেন। আপনার পছন্দমত যে কোন কাজের নিয়োগ দেখে সেটিতে ক্লিক করে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করুন। ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করার পর অপেক্ষা করতে হবে অফারটি এপ্রুভ হলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কানাডা জব ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি
কানাডা জব ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে canada.ca ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। অতঃপর ইমিগ্রেশন এন্ড সিটিজেন্সি
অপসনে ক্লিক করুন ওয়ার্ক সিলেক্ট করতে হবে অতঃপর গেট এ ওয়ার্ড পারমিট
লেখার উপর ক্লিক করে সকল ধাপ অনুসরণ করে একটি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন
করুন।
কানাডা জব ভিসা আবেদন ফরম
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে ভিসা আবেদন ফরম বা ওয়ার্ক পারমিট ফরম পূরণ করতে হয়। কানাডা যাবার ভিসা আবেদন ফরম পাবেন canada.ca jobbank.gc.ca ওয়েবসাইট ভিজিটের মাধ্যমে। এ দুটি ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পূরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারেন।
আরো পড়ুন ঃ >সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
কানাডা জব সার্কুলার কখন হয়
আপনি যদি কানাডা যেতে চান তবে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে। যে কাজের উপর আপনার দক্ষতা আছে সেই কাজের নিয়োগ খুঁজে সেখানে আবেদন পূরণ করার মাধ্যমে অতি সহজেই কানাডা যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।
কানাডা জব ভিসা খরচ
কানাডা জব ভিসা খরচ সাধারণত কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে কম
বেশি হয়ে থাকে। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে যে সকল পারপাসে খরচ
করতে হবে তা হল হোটেল বুকিং ,বিমান টিকিট ,এজেন্সি বা কনসুলেট ফি ,মেডিকেল
রিপোর্ট ,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স , ভিসা প্রসেসিং ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহসহ মোট.৭
থেকে.৮ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে তবে কোন দালাল বা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে এর
চেয়ে অনেক বেশি খরচ লাগে সেটা সাধারণত ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বা
এর চেয়ে আরো বেশিও হতে পারে। যা আপনি সরকারিভাবে কানাডা জব ভিসার জন্য আবেদন
করলে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার বেশি লাগবে না।
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারের কান্ডা দেয়ার জন্য কানাডা ডট সি এ ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে অতঃপর
ইমিগ্রেশন এন্ড সিটিজেন্সি অপসনে ক্লিক করে ওয়ার্ক অপসনে ক্লিক করতে হবে অতঃপর
গেট এ ওয়ার্ক পারমিট লেখার উপর ক্লিক করে ওয়ার্ক পারমিট পূরণ করতে হবে এসব ধাপ
পূরণ করলে সরকারি ভাবে কানাডা যেতে পারেন\
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনাদের একটি জিনিস স্পষ্ট করতে চায় সেটি হচ্ছে কাজের
সিরিয়াল মেন্টেন করে কাজ করা কারণটা কাজের ভিসা পেতে হলে কানাডা ডট সিএ
ওয়েবসাইট ভিজিট এর মাধ্যমে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এর আবেদন করতে হবে অতঃপর
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে কোম্পানির সহযোগিতা নিয়ে ভিসা প্রশাসনের কাজ
শুরু করবেন
এতক্ষণ যাবৎ আপনাদের সাথে কানাডা জব বেশ আবেদন করার নিয়ম কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ কত লাগে সহ আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি যা ভিসা সম্পর্কে তার তথ্য পেতে প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট পেজে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url